Description

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আমি সুমাইয়া আক্তার

পঞ্চম শ্রেণী

জন্মের তিন বছর পর সুমাইয়া তার বাবাকে হারান। বাবার অবর্তমানে একজন সন্তানের পৃথিবী সদা সর্বদা ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। সুমাইয়ার বাবা তারিকুল ইসলাম পেশায় কৃষক ছিলেন। অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করে এক মেয়ে ও স্ত্রী মৌসুমিকে নিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাতেন তিনি। হটাৎ একদিন সকালে স্ট্রোক করেন তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র মেয়ে এবং স্ত্রীর জন্য বসতি ভিটা ছাড়া কিছুই রেখে যাননি তিনি।

তিনি চলে যাওয়ার পর সুমাইয়াকে নিয়ে তার মা কি করবেন কোন কূলকিনারা না পেয়ে মাত্র ছয় হাজার টাকার স্বল্প বেতনের একটি চাকুরীতে যোগদান করেন। যা দিয়ে কোনরকম সংসার চললেও সুমাইয়ার লেখাপড়া চালাতে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা পরোপকারি পরিবার সুমাইয়াকে স্পন্সর করেছি যা দিয়ে তার লেখাপড়া এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা হয়েছে। বড় হয়ে চাকুরী করে মায়ের জন্য একটা সুন্দর বাড়ী করতে চাই সুমাইয়া। আসুন সুমাইয়ার মত একটা ফুলকে ফুটিয়ে তুলি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলি।

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: কচিকাঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

মোছা: সুমাইয়া আক্তার

পিতা: মৃত তারিকুল ইসলাম

পিতার মৃত্যু: ০৭ মে ২০১৫

মাতা: মৌসুমি খাতুন (গৃহিণী)

শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ