Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি জয়নাল আবেদীন মৃদুল
৬ষ্ঠ শ্রেণি
মৃদুলের বাবা বিশু পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। কখনও শহরতলীর বাজার কখনও বা অজোপাড়াগার হাঁট, এভাবেই ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি। বাল্যকাল থেকে ধর্মভীরু ছিলেন বিশু। পরিবারের অর্থাভাবে খুব অল্প বয়সে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। শৈশবের কাঁদামাখা দিন গুলোও ছিল বিশুর জন্য বেদানাদায়ক। কারণ যে বয়স শিশুদের দৌড়ঝাঁপ করায়, সে বয়স আবার সংসারের হাল ধরাও শেখায়। সংসারের হাল ধরতে ছোট্ট বিশু তখন থেকেই পরিশ্রম করে আসছে! ধীরেধীরে বড় হয় সেই ছোট্ট বিশু। একপর্যায়ে নিজেরও সংসার হয়। এবং তখন থেকেই পণ করেন যদি তার ছেলে সন্তান হয় তাকে হিফজুল কোরআন পড়াবেন বিশু। কিন্তু একমাত্র ছেলের মাদরাসায় যাওয়া দেখে যাওয়া হয়নি বিশুর। তার পূর্বেই মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি। এবং তখন থেকে থেমে যায় এক স্বপ্নবাজ যুবকের পথচলা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে যেন সব হারিয়ে ফেলে মাসরুফা খাতুন। একমাত্র সন্তান মৃদুলকে ধার দেনা করে মাদরাসায় ভর্তি করায় মাসরুফা খাতুন। কিন্তু তা আর খুব বেশী দিন স্থায়ী হয় না। অর্থের অভাবে কয়েক মাস বেতন বকেয়া পড়লে এক পর্যায়ে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় মৃদুলের। বাধ্য হয়ে মানুষের বাসা বাড়ীতে কাজ শুরু করেন মাসরুফা খাতুন। যা দিয়ে নিয়মিত ভাবে দুবেলা দুমুঠো খাবার, এবং একমাত্র সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেন না তিনি। এমতাবস্থায় এপিপি মাসরুফা খাতুনের পাশে এসে দাঁড়ায়। মৃদুলকে এপিপির ইয়াতিম প্রতিপালন প্রকল্পের স্পন্সর করা হয়। আবারও বাবার লালিত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মাদরাসায় ফিরে যায় মৃদুল। তার জন্য এপিপির পক্ষ থেকে একজন নিয়মিত তত্ত্বাবধায়ক এবং লেখাপড়ার যাবতীয় উপকরণ দেওয়া হয়। বর্তমানে মাসরুফা খাতুনের আর দুমুঠো খাবারের জন্য পথ চেয়ে থাকতে হয় না। আবারও একমাত্র সন্তানকে বিদ্যাপীঠে ফিরে যেতে দেখে দুচোখ ভিজে ওঠে মাসরুফা খাতুনের। তাই আসুন এতিম পরিবারদের জন্য অভিভাবক হয়ে তাদের পাশে দাড়াই। আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসুন সমাজের অসহায়ত্ব দূর করি, এপিপির এই অগ্রযাত্রায় ছায়া হয়ে পাশে থাকি।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: আলহাজ্ব ফাএজুদ্দিন (রহঃ) নুরানী মাদরাসা
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
মো: জয়নাল আবেদীন মৃদুল
পিতা: মৃত বিশু
পিতার মৃত্যু: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
মাতা: মোছা মাসরুফা খাতুন
সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.