Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আনিসা আক্তার জুঁই
চতুর্থ শ্রেণী
এসলাম আলীর চোখের মনি শিশু আনিসা। তিনি পেশায় একজন রাজমস্ত্রী। তিন সন্তানকে নিয়ে তার সুখের যেন কমতি নেই। সকলের ছোট হওয়ায় আনিসাকে আদর আহ্লাদে বড় করেন বাবা এসলাম। পাঁচ জনের সংসারে সবকিছু বেশ ভালোভাবেই চলছিলো, এরমধ্যে ভবন নির্মাণের নতুন কাজ আসলে খুলনায় যান তিনি। সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ০৭ তলায় নির্মাণ কাজ করা কালীন ভবনের উপর থেকে নিচে পড়ে যান তিনি, অকস্মাৎ পড়ে যাওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়। আনিসার বয়স তখন মাত্র ০৩ বছর ৬ মাস, এবং তার বড় বোন সারমিনের বয়স ছিল ১৭। স্বামীর মৃত্যুতে মো: পারভিন একদমই ভেঙ্গে পড়ে, কোন আবাদি জমি না থাকায় কোন বাড়তি উপার্জনও ছিলোনা তাদের, এমতাবস্থায় সেলাই মেশিনের কাজ শুরু করেন তিনি। বড় মেয়ে সারমিনের বিবাহ সম্পন্ন হলে ভাবেন এবার হয়তো কিছুটা দুঃখ ঘুচবে, কিন্তু উল্টো তার সংসারের দায়িত্বও এখন আনিসার মায়ের উপরে এসে পড়েছে।
দুই দিকের সংসার চালাতে পারভিন যেন অথৈ সাগরে। আর্থিক সংকট, আনাহার, আনাদর সব কিছু একবারে কাধে এসে পড়েছে। অতঃপর আনিসাকে এপিপির ইয়াতিম প্রতিপাদন প্রকল্পের আওতায় এনেছি আমরা, লেখাপড়া এবং সামান্য খাবারের ব্যবস্থা হওয়ায় পারভিনের চোখেমুখে এখন অনাবিল সুখ বাসা বেধেছে। এই সুখকে চিরস্থায়ী করতে কিছু দানশীল প্রশারিত হস্ত চাই। যেন তাদের মুখে বাকি জীবন হাসি ফুটাতে পারে আমরা পরোপকারি প্রিবার-এপিপি।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: রাইহায়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
মোছা: আনিসা আক্তার জুঁই
পিতা: মৃত এসলাম আলী
পিতার মৃত্যু: ৩০ জুলাই ২০১৮
মাতা: মো: পারভিন (গৃহিণী)
সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.