Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি সুমাইয়া আফরিন সীমু
নবম শ্রেণী
পরিবারের আদরের মেয়ে সুমাইয়া, ছোট থেকে মেধাবী হওয়ায় তার প্রতি স্কুলের শিক্ষকেরা আলাদা ভাবে নজর রাখতেন। সুমাইয়ার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে খুব সচেতন ছিলেন তিনি। হঠাৎ একদিন সবকিছু থমকে যায় সুমাইয়ার, তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ঘুমের মধ্যে হার্ট এটাক করেন। পরবর্তীতে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বাবার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে সুমাইয়ার পরিবার। একদিকে স্বামীর মৃত্যুতে আফিয়া বেগমের পৃথিবী যেন কূলকিনারাহীন গভীর মহাসাগর, অন্যদিকে সুমাইয়ার লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অনাহার, অনাদর, আর্থিক কষ্টে কোনরকম দিন পার করছিলো পরিবারটি। দু-বেলা দু-মুঠো খাবারের জন্য তাকিয়ে থাকে আফিয়া বেগম। কিভাবে মেয়ের লেখাপড়া করাবেন, কিভাবে তার মুখে খাবার তুলে দেবেন এই ভেবে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তিনি।
অতঃপর এপিপি তাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে। সুমাইয়ার লেখাপড়া আবারও সচল হয়। তার জন্য গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি সকল রকম শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করে এপিপি। বর্তমানে খাবারের জন্য আর পথ চেয়ে বসে থাকতে হয়না পরিবারটির। এপিপির এই স্পন্সরে স্বাভাবিক জীবন ফিরেছে সুমাইয়ার মত অনেক অসহায় অনুজদের। তাই আসুন এতিম শিশুদের পাশে থাকি, তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলি। এপিপির এই অগ্রযাত্রায় আপনার সকল ধরনের সাহায্য এবং সহযোগিতার সুবিন্যস্ত হাত বাড়িয়ে দিন।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: রাসুল্পুর নুরানী মাদরাসা
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
সুমাইয়া আফরিন সীমু
পিতা: মৃত সিরাজুল ইসলাম
পিতার মৃত্যু: ১০ জানুয়ারি ২০১৩
মাতা: মোছা আফিয়া (গৃহিণী)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.