Description
সুবর্ণা খাতুন
চরমোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়
৮ম শ্রেণি
সুবর্ণা খাতুন (১৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চরমোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। তার একমাত্র ভাই ফরহাদ স্থানীয় একটি কলেজে এইচ এস সিতে পড়ছে। সুবর্ণা ও ফরহাদের বাবা জনাব মোঃ সদর আলী সন্তানদের ছোট রেখে ২০১৬ সালে স্ট্রোক করে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। মৃত্যুর আগে তিনি জমিতে কৃষিকাজ করতেন। সুবর্ণার বাবার অকাল মৃত্যুতে সুবর্ণার মা ফুকেরা খাতুনের সংসারে চরম অভাব নেমে আসে। এসময় ফুকেরা খাতুন লক্ষ্য করলেন সদর আলী এতোদিন যেসব জমিতে চাষাবাদ করতেন সেসব তাদের ছিলোনা। তাদের নিজেদের বলতে শুধুমাত্র একটি ঘর আছে। কিছুদিন নিকটাত্মীয়দের থেকে সহযোগিতা নিয়ে চলার পরে ফুকেরা খাতুন একটি ভিন্ন পরিকল্পনা মাথায় নেন। দুইসন্তানের প্রায় বন্ধ হওয়া লেখা-পড়া অব্যাহত রাখতে এবং তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে তিনি সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। এরফলে কিছুদিনের মধ্যে তার পরিবারে দরিদ্র অবস্থা কিছুটা দূর হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছলতা আসেনি।
সুবর্ণার দাদা বেঁচে নেই। একমাত্র চাচা বিদেশে থাকেন। তিনি স্বল্প আয়ে বৃদ্ধ মা ও নিজের সংসার পরিচালনা করছেন কিন্তু মৃতভাইয়ের পরিবারে নিয়মিত সহযোগিতা করতে অক্ষম।
এপিপি ২০২১ সালে পরিবারটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। এপিপির সীমিত ফান্ড থেকে যে সামান্য সাহায্য পাঠানো হয় তা ফুকেরা খাতুন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ব্যয় করে সন্তানদের গড়ে তুলছেন। সুবর্ণা ২০২২ সালে লাইফ স্কিল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে বুঝতে শিখেছে তাকে জ্ঞান অর্জনের পথে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এপথে চলতে তার প্রয়োজন সাহায্যের। শিশুটির জীবন বদলে দিতে আপনিও ভূমিকা রাখুন।
Reviews
There are no reviews yet.