Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি সানজিদা আক্তার সাথী
৬ষ্ঠ শ্রেণী
পরিবারের সকলের আদরের শিরমণি সানজিদা। ছোট থেকে লেখাপড়ার দিকে বেশ ঝোঁক থাকায় তার বাবা একমাত্র মেয়েকে ডাক্তার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও মেয়ের সকল আবদার মেটাতে কখনও দেরী করেননি। দুই সন্তানের মধ্যে সানজিদা ছোট হওয়ায় তার আদর এবং ভালোবাসা সবার চেয়ে একটু বেশি ছিলো। ভদ্রতা এবং নম্রতা দেখে স্কুলের শিক্ষকেরাও সানজিদাকে সবসময় আলাদা চোখে দেখতেন। সবকিছু বেশ ঠিকঠাক ভাবে চলছিলো, এরমধ্যে হঠাৎ একদিন সানজিদার বাবা জানতে পারেন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকের ভাষ্য মতে অন্তিম সময় পার করছেন তিনি। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন মহান রবের ডাক চলে আসলে, পরিবারের সকলকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমায় সানজিদার বাবা মো জাহাঙ্গীর। সামান্য রাজমিস্ত্রি হওয়ায় পরিবারের জন্য তেমন কিছু রেখে যেতে পারেননি তিনি। পৈতৃক ভিটা ছাড়া নিজের কোন আবাদি জমিও ছিলো না জাহাঙ্গীরের। স্বামীর হঠাৎ প্রস্থানে সাহনাজ বেগমের যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সন্তানদেরকে নিয়ে গভীর মহাসাগরে আছড়ে পড়েন তিনি। সংসারের হাল ধরতে নিজেকে সম্বল মেনে বাসাবাড়ীতে কাজ শুরু করেন সানজিদার মা। বড়ছেলেকে বাধ্য হয়ে রাজমিস্ত্রির যোগালের কাজে পাঠান তিনি। অনাহারে দু-মুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করতে থাকে পরিবারটি। এক পর্যায়ে সানজিদার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। একমাত্র মেয়ের স্বপ্ন এভাবে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি সাহনাজ বেগম। সবকিছু দেখে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অঝোরে কাঁদেন তিনি। বর্তমানে সানজিদা আমরা পরোপকারী পরিবার-এপিপির ইয়াতিম প্রতিপালন প্রকল্পের আওতাধীন রয়েছে। আমরা তার জন্য সকল রকমের শিক্ষা উপকরণসহ গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। তার অনাগত ভবিষ্যৎ গড়তে তার পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছে এপিপি। এপিপির এই যাত্রায় আপনিও পাশে এসে দাড়াতে পারেন। আমরা দানশীল হস্ত চাই যে হস্ত সানজিদার মত আরও অসহায় পরিবারদের পাশে এসে দাঁড়াবে, যে হস্ত কণ্টকময় পৃথিবীতে রঙ্গিন আলো ছড়াবে।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: উপর রাজারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
সানজিদা আক্তার সাথী
পিতা: মৃত জাহাঙ্গীর
পিতার মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
মাতা: মোছা সাহানাজ (গৃহিণী)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.