Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি সানজিদা
পঞ্চম শ্রেণি
মাত্র চার বছর বয়সে বাবাকে হারায় সানজিদা। হঠাৎ সেদিন সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। স্বল্প উপার্জনে পরিবারের জন্য তেমন কিছু রেখে যেতে পারেননি তিনি। পৈত্রিক ভিটায় কোনরকম বসতি গড়ে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন সানজিদার বাবা। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েকে নিয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পতিত হয় সহিদা বেগম। একদিকে সানজিদার লেখাপড়ার খরচ এবং অন্যদিকে শ্রবন প্রতিবন্ধি ছেলে, তাদেরকে নিয়ে তিনজনের এই সংসারের হাল ধরতে অপারগ তিনি। বাস্তবতা সবসময় দুঃস্বপ্নের মত আছড়ে পড়ে। ঠিক তেমনি বাস্তবতার কাছে হার মেনে দু’বেলা দুমুঠো খাবারের জন্য চেয়ে থাকে সহিদা বেগম। সন্তানদের অনাহারী মুখ, এবং ক্ষুধার তীব্র আর্তনাদে চারিদিক যেন ভারী হয়ে ওঠে তাঁর। এরইমধ্যে লেখাপড়ার খরচ চালাতে না পারায় সানজিদার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সহপাঠীদের স্কুলে যাওয়া দেখে সানজিদাও স্কুলে যাওয়ার বায়না করে, একমাত্র মেয়ের হঠাৎ সবকিছু থমকে যাওয়া দেখে দুচোখ ভিজে যায় তাঁর।
অতঃপর এপিপি থেকে সানজিদার স্পন্সর করা হয়। তার লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ এবং গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করে এপিপি। সবকিছু রূপকথার গল্পের মত মনে হয় সহিদা বেগমের। তিনি ভাবতেও পারেন নি এই দুর্দিনে কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে! এপিপির এই যাত্রায় আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাই আসুন এতিম শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে আর্থিক সহযোগিতা করি, এবং তাদের কল্যাণে নিজেদের সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: চৌহদ্দীটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
সানজিদা
পিতা: মৃত জামাল উদ্দীন
পিতার মৃত্যু: ৩০ মে ২০২০
মাতা: মোছা সাহিদা (গৃহিণী)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.