Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি ফারহানা খাতুন
সপ্তম শ্রেণী
ফারহানার বাবা দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ভুগে মৃত্যবরণ করেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। একদিকে স্বল্প আয়ের অভাবের সংসার অন্যদিকে অসুস্থতা, এসবের মধ্যে পরিবারের জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু রেখে যায়নি ফারহানার বাবা। সন্তানদের মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে বাধ্য হয়েই মানুষের বাড়ীতে ঝি-এর কাজ নেন ফারহানার মা মেহের বানু। সামান্য উপার্জনে সন্তানদের মুখে পর্যাপ্ত আহারের ব্যবস্থা করতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোন রকমভাবে বড় মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেন। সন্তানদের অনাহারের দুঃখ কিভাবে ঘুচাবেন জানা ছিলোনা তাদের মায়ের। কিছুদিন পর আর্থিক অস্বচ্ছলতা আরও বেড়ে যায় মেহের বানুর, এবার আর ফারহানার লেখাপড়া চালু রাখতে পারেন না তিনি।
এমতাবস্থায় এপিপি বটবৃক্ষ হয়ে ছায়া দেয় পরিবারটির। বর্তমানে ফারহানার জন্য গৃহ শিক্ষক নিযুক্ত করে তার লেখাপড়াসহ সকল দায় দায়িত্ব নিজের করে নেয় এপিপি। এখন আর খাবারের জন্য চেয়ে থাকতে হয়না মেহেরবানুর। এপিপির স্পন্সরে সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা হওয়ায় ভীষণ খুশি তিনি। স্বপ্ন দেখেন ফারহানা একদিন অনেক বড় ডাক্তার হয়ে তার সংসারের সকল অবসাদ দূর করবেন। এপিপিও স্বপ্ন দেখে একদিন এই অসহায় এতিম শিশুরা অনেক বড় হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আসবে। এপিপির এই যাত্রায় পাশে থাকতে আসুন আর্থিক কুরবানি করি। এতিমদেরকে আলোকিত করে গড়ে তুলি।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: নয়নশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
ফারহানা খাতুন
পিতা: মৃত ফারুক
পিতার মৃত্যু: ১২ মে ২০২০
মাতা: মোছা মেহের বানু (গৃহিণী)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.