জাহিদ হাসান

পরোপকারী মানুষই সেরা মানুষ
৳ 3,000.00

বয়স: ৯ বছর

চতুর্থ শ্রেণি

বাংলাদেশ, চাপাইনবাবগঞ্জ

1 in stock

Description

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আমি জাহিদ হাসান

চতুর্থ শ্রেণি

নিজের কোন আবাদি জমি না থাকায় অন্যের জমিতে চাষাবাদ করতেন নেজারুল। সারাদিনের পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত দেহ বিছানায় লেপ্টে চার সন্তানকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্বামীর সেবা এবং সন্তানদের লালন পালনে স্বস্তির ছাপ লেগে থাকতো সালমা বেগমের। সন্তানদের মধ্যে জাহিদ সবার ছোট হওয়ায় তাকে নিয়ে স্বপ্নটাও বেশি ছিলো নেজারুল ও তার স্ত্রীর। ধীরেধীরে বড় হতে থাকে জাহিদ। কিছুদিন পর তাকে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করা হয়। সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পেরে কৃষক বাবার চোখে অগণিত স্বপ্ন বাসা বাধে। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দেয় সালমা বেগমের। হঠাৎ গভীর রজনিতে স্ট্রোক করে মারা যায় জাহিদের বাবা নেজারুল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ে সালমা বেগম। সংসারের সবকিছু বাধাগ্রস্থ হলে একপর্যায়ে সন্তানদের লেখাপড়াও থমকে যায়। বাধ্য হয়ে বড় দুই ছেলেকে দিনমজুরের কাজে পাঠায়। ছোট ছোট দুই সন্তানের সামান্য উপার্জনে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগান দিতে পারে না সালমা বেগম।

অতঃপর এপিপি সালমা বেগমের পাশে এসে দাঁড়ায়। এপিপি থেকে জাহিদের লেখাপড়ার সকল উপকরণ এবং তার জন্য গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করা হয়। এপিপির এই সহযোগিতার ফলে দুবেলা খাবারের যোগান হয়েছে অসহায় এই পরিবারটির। যেন ডানা ভাঙা পাখি বহুদিন পর তার নীড় খুঁজে পেয়েছে। জাহিদের মত অসংখ্য এতিম শিশুরা এপিপির ইয়াতিম প্রতিপালন প্রকল্পের আওতায় এসে আবারও স্কুলে ফিরে যেতে পেরেছে। আবারও দুবেলা দুমুঠো খাবার পেয়ে অনাহারী জীবনের অবসান ঘটেছে অসংখ্য সালমা বেগমের। তাই আসুন অসহায় পরিবারদের পাশে থাকতে এপিপির এই অগ্রযাত্রায় শামিল হই। অসহায়ত্ব ঘুচিয়ে রঙিন এক পৃথিবী তাঁদেরকে উপহার দেই।

 

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মোহনপুর নূরানী ইবতেদায়ী মাদ্রাসা

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

মো: জাহিদ হাসান

পিতা: মৃত নেজারুল ইসলাম

পিতার মৃত্যু: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতা: সালমা (গৃহিণী)

সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জাহিদ হাসান”

Your email address will not be published. Required fields are marked *