জনী

পরোপকারী মানুষই সেরা মানুষ
৳ 3,000.00

বয়স: ১০ বছর

পঞ্চম শ্রেণি

বাংলাদেশ, চাপাইনবাবগঞ্জ

1 in stock

Description

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আমি জনী

পঞ্চম শ্রেণী

মাত্র পাঁচ মাস বয়সে বাবাকে হারায় জনি। বাবার অবর্তমানে যেন পৃথিবীর সমস্ত আলো নিভে গিয়েছে তার। ছোট থেকে অভাব, অনটন দেখে বড় হয়েছে সে। জনির বাবা আঁকবর আলী পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার নিজের কোন আবাদি জমি কিংবা বসতি জমি ছিলোনা, সরকারি খাস জমিতে কোন রকম বসতি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করতেন জনীর বাবা। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে জানতে পারেন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিছুদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্বাস্থসেবা চলতে থাকে তার। কিন্তু আর্থিক অবস্থা শোচনীয় থাকায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের সেবা নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একদিকে স্বাস্থের অবনতি অন্যদিকে আর্থিক টানাপোড়েন এসবের মধ্যে পরিবার নিয়ে নানামুখী সমস্যায় পতিত হতে হয় জনিদের। তার অল্প কিছুদিন পর নিজ গৃহে ইন্তেকাল করেন আঁকবর আলী। স্বামীর মৃত্যুর পর ইয়াসমিন বেগমের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে দু-বেলা দু-মুঠো খাবার জোটেনা তার পরিবারের। প্রতিবেশীদের কাছে ধারদেনা করে বড় মেয়ের বিয়েও দেন তিনি। ধারদেনা করে একমাত্র মেয়ের বিবাহ দেওয়ার পর টানাপড়েন বেড়ে যায় ইয়াসমিন বেগমের। একটু খাবারের আশায় বাধ্য হয়ে মানুষের বাড়ীতে কাজ শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি ছোট্ট শিশু জনিকেও রাজমিস্ত্রির কাজে পাঠায় ইয়াসমিন বেগম। তারপর থেকে জনির লেখাপড়া এবং স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। জনিকে নিয়ে সকল স্বপ্ন ফিকে যায় তার মায়ের। রঙ্গিন পৃথিবীর হঠাৎ রংবদলে সবকিছু ভঙ্গুর মনে হয় ইয়াসমিন বেগমের।

অতঃপর এপিপি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। জনিকে স্পন্সর করে আবারও স্কুলে পাঠানো হয় । তার জন্য গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করে শিক্ষা উপকরণও দেয় এপিপি। বর্তমানে জনির আর খবারের কষ্ট নেই, দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য এখন আর কারো আশায় বসে থাকেনা পরিবারটি। তাই আসুন এপিপির এই যাত্রায় নিজেদের আর্থিক কুরবানি করি, এবং অসহায়ত্ব বরণ করা পরিবার গুলোর পাশে এসে দাড়াই।

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: নয়নশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

মো জনি

পিতা: মৃত আকবোর আলী

পিতার মৃত্যু: ২৫ জুলাই ২০১৪

মাতা: মোছা ইয়াসমিন (গৃহিণী)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জনী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *