ইসমা খাতুন

পরোপকারী মানুষই সেরা মানুষ
৳ 3,000.00

বয়স: ১৪ বছর

৬ষ্ঠ শ্রেণী

বাংলাদেশ, চাপাইনবাবগঞ্জ

1 in stock

Description

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আমি ইসমা খাতুন

৬ষ্ঠ শ্রেণী

এসলাম উদ্দীন পেশায় রাজমিস্ত্রির যোগালি ছিলেন। তিনি শৈশব থেকে পারিবারিক ভাবে অভাব অনটন দেখে বড় হয়েছেন। তার পৈতৃক জমি ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই ছিলো না। যদিও রাজমিস্ত্রির কাজ করে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ইসমা খাতুন এসলাম উদ্দিনের কনিষ্ঠা কন্যা। খুব অল্প বয়সে আর্থিক টানাপড়েন থাকায় বড় মেয়ের বিবাহ দিতে বাধ্য হয় এসলাম। এরপর থেকে ইসমার প্রতি বাড়তি নজর রাখতেন তিনি। ছোট থেকে ইসমা লেখাপড়ায় মনোযোগী এবং শান্তশিষ্ট  হওয়ায় সবাই তাকে পছন্দ করতো। তার বাবা সারাদিনের পরিশ্রম শেষে নিজে না খেয়ে মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ কিনতে মোটেও দেরী করতেন না। কিন্তু সে স্বপ্ন একমুহূর্তে বিলীন হয়ে যায় এসলামের। হঠাৎ একদিন নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় এসলাম। রক্তাক্ত দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, মুহূর্তে ঘটনাস্থলে লোকের সমাগম বেড়ে যায়। এবং তাৎক্ষণিক ভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। যেন হাজারও সফেদ স্বপ্ন রক্তের বন্যায় ভেসে যায়। হাসপাতালের বেডে অথর্ব হয়ে পড়ে থাকে এসলামের নিথর দেহ। স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় পারভিন বেগম। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিনরাত অঝরে কাঁদেন তিনি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ীতে সেলাই মেশিনের কাজ শুরু করেন। তারপরও সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারে না পারভিন বেগম। ইসমা খাতুন আগের মত আর লেখাপড়া করতে পারে না। থমকে যায় তার অনাগত ভবিষ্যৎ। যেখানে মায়ের সামান্য উপার্জনে দুবেলা খাবার যোগান হয় না সেখানে শিক্ষা উপকরণ কিভাবে কিনবে মেয়েটি। এমতাবস্থায় এপিপি ইসমার দায়িত্ব নেয়। তার জন্য যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ এবং গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হয়। এপিপির সহযোগিতায় সন্তানদের মুখে আবারও খাবার তুলে দিতে সক্ষম হয় পারভিন বেগম। আবারও ইসমাকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া রঙিন স্বপ্নের পিছনে ছুটতে শুরু করেছেন তিনি। তাই আসুন এপিপির এই যাত্রায় ছায়া হয়ে পাশে থাকি। হয়তো আপনার সামান্য সহযোগিতা পেয়ে এই অনুজরাই হয়ে উঠবে আগামী দিনের পথ প্রদর্শক।

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: রেহাইচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

ইসমা খাতুন

পিতা: মৃত এসলাম উদ্দিন

পিতার মৃত্যু: ৩০ জুলাই ২০১৮

মাতা: পারভিন (গৃহিণী)

সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ