Description
আব্দুল্লাহ আল কাফি
চতুর্থ শ্রেণী
নুরানি মাদরাসা
মাতৃগর্ভে এতিম হয় আব্দুল্লাহ আল কাফি (৯), মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত হলেও বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত সে। তার বড়ভাই রাফি (১২), ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। যে বয়স বাবার হাত ধরে দুরন্তপনা শেখায় সে বয়সে এতিম হয়েছে ভাই দ্বয়। একপ্রকার মায়ের মমতা থেকেও বঞ্চিত তারা, বর্তমানে নানীর আশ্রয়ে অসহায় জীবন পার করছে মাসুম শিশু কাফি এবং রাফি। তাদের পিতা মনিরুজ্জামানেরও একদিন সোনালী সংসার ছিলো, স্ত্রী জয়নাব (২৭), বৃদ্ধ বাবা-মা, এবং ভাইকে নিয়ে সংসারে সুখের কমতি ছিলোনা। পূর্ণ স্বাবলম্বী না হলেও সবাইকে নিয়ে সুখের সংসার দাড় করিয়েছিলেন। তবে পৈতৃক বসতি ভিটা ছাড়া তেমন কিছুই নেই মনিরুজ্জামানের। ২০১৫ সাল, অনাগত সন্তান কাফির আগমনের অপেক্ষা, স্ত্রী জয়নবের সাথে হাজারো পরিকল্পনা, পরামর্শ এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা মনিরুজ্জামানের। সেদিন বিকালে দেলুয়াবাড়ী থেকে চৌবাড়িয়া যাওয়ার জন্য বের হয় মনির, পথিমধ্যে বাঁকাপুর সন্যাসীতলা হিরো ইট ভাটার সামনে পৌছাতে সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি। একটি শ্যালো ইঞ্জিনের গাড়ীর (ভটভটি) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রাণ ঝরে যায় মনিরের। হাজারো স্বপ্ন নিমিষেই হারিয়ে শোকের মাতমে ভাসে স্ত্রী জয়নব। স্বামীর লাশের পানে চেয়ে স্তব্ধতায় বিমুঢ় হয়ে বসে থাকে তরুণী জয়নব। মনিরের মৃত্যুতে শোকাভিভূত গ্রামবাসী জয়নবকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পান না! একদিকে স্বামীর মৃত্যু অন্যদিকে মাতৃগর্ভে অনাগত সন্তান কাফি, দুশ্চিন্তার কিনারা না পেয়ে বড় ছেলে রাফিকে নিয়ে মায়ের কাছে ফিরে যান মনিরের স্ত্রী জয়নাব। সেখানেই জন্ম নেয় এতিম শিশু কাফি। নানি সায়েমা হকের সংসার আগে থেকেই অভাব অনটনে জর্জারিত ছিলো। যে কারণে কাফির জন্মের কিছুদিন পর তার স্বল্প বয়েসী মা জয়নবকে অন্যত্র বিয়ে করতে বাধ্য হতে হয়। সেদিন থেকে মায়ের মমতাময়ী স্নেহ ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয় ছোট্ট শিশু কাফি এবং রাফি। চাইলেই বাবা ডাকতে পারেনা তারা, পারে না স্বাধীন ভাবে মায়ের আঁচলে মুখ মুছতে! মায়ের হাতের খাবারও এখন অলিক হয়ে দাড়িয়েছে তাদের জন্য। বয়োবৃদ্ধা সায়েমা হকের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় থাকায় কাফি এবং রাফির খরচ চালাতে পারছেন না তিনিও। এতিম শিশু কাফি নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, আলেম হতে চাই সে, তবে লেখাপড়ার খরচ কোথায় মিলবে তার জানা নেই, সায়েমা হকও জানেন না কিভাবে তার এতিম নাতি কাফির ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নে রূপ নেবে। এমতাবস্থায় আমরা পরোপকারী পরিবার-(এপিপি) আব্দুল্লাহ আল কাফির অলেম হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে রূপ দিতে তাকে স্পন্সরের আওতাধীন করেছে। আপনাদের সাহায্য এবং সহযোগিতার প্রসারে বিকশিত হবে আরও অনেক এতিম শিশু। আসুন এতিমদের পাশে এসে দাড়াই, তাদেরকে স্বাধীন ভাবে হাসতে এবং বাঁচতে শেখাই।
Reviews
There are no reviews yet.