Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি মো আব্দুল্লাহ
৬ষ্ঠ শ্রেণী
আবদুল্লাহর বয়স যখন ০২ বছর তখন তার বাবা আব্দুল জব্বার ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন দুরারোগ্য কিডনির ব্যাধিতে ভুগে মৃত্যুবরণ করেছেন। পেশায় ভ্যানচালক বাবা পরিবারের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি। যার ফলে তিন সন্তানকে নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয় মারজিয়া বেগমের। একটা চাকুরীর জন্য তিনি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে থাকেন, অনেক চেষ্টার পর স্থানীয় এক হাসপাতালে স্বল্প বেতনে চাকুরী হয় তাঁর। তিন সন্তানকে নিয়ে তাঁর এই দুঃসাহসিক যাত্রা এখনও চলমান।
বর্তমানে মারজিয়া বেগমের বড় দুই ছেলের পরিবার হয়েছে, তারা এখন দিনমজুরের কাজ করে তাদের সংসারের হাল ধরেছেন। তবে মারজিয়া বেগমের অসহায়ত্বের রেশ এখনও কাটেনি। স্বল্প উপার্জনে আব্দুল্লাহর লেখপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়! এমতাবস্থায় এপিপি আব্দুল্লাহর স্পন্সর করে এবং তার জন্য গৃহ শিক্ষকেরও ব্যবস্থা করে। এপিপির এই সহযোগীতায় সংসারের অসহায়ত্ব এবং অনাহারী জীবনের সংগ্রাম কিছুটা হলেও লাঘব পেয়েছে মারজিয়া বেগমের।
তাই আসুন, এই অসহায় মানুষদের জন্য সহযোগীতার হাত প্রসারিত করি, সকল এতিম শিশুদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নিজেদের হাতে তুলে নেই তাদের দায়দায়িত্ব। অধিকার আদায়ে হই সোচ্চার, উপার্জনের একটি অংশ দিয়ে গড়ে তুলি দুর্নিবার।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: চন্ডিপুর হেদায়েতুল্লাহ মহিলা দাখিল মাদরাসা
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
মো আব্দুল্লাহ
পিতা: মৃত আব্দুল জব্বার
পিতার মৃত্যু: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪
মাতা: মার্জিয়া বেগম (গৃহিণী)
শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.