Description
তিনিমা আনোয়ার সারা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি তিনিমা আনোয়ার সারা
৬ষ্ঠ শ্রেণী
মাত্র ছয় বছর বয়সে বাবাকে হারায় তিনিমা সারা। বাবার আদর ভালোবাসা তার কাছে যেন দুষ্প্রাপ্য কষ্টি পাথরের মত। সারার বাবা ছিলেন একজন ক্ষুদ্র কৃষক। তার নিজের কোন জমি না থাকায় অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে পরিবারের ভরণপোষণ এবং একমাত্র মেয়ের লেখাপড়া চালাতেন তিনি। একদিন হটাৎ পেটে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন সারার বাবা। অতঃপর তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। কিন্তু কোন কিছুতেই তার ব্যাথা নিরাময় হয় না! ব্যাথার মাত্রা সহনশীল থেকে একপর্যায়ে অসহনশীল হয়ে পড়লে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এবং পরবর্তীতে সারার বাবার জ্ঞান আর ফেরে না। তিনি মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। স্বামীর মৃত্যুতে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে কাফুরা খাতুনের। একমাত্র ছেলে তানভির তখন কোলে, এবং সারার বয়সও তখন মত্র মাত্র ছয় বছর। কিভাবে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবেন, কিভাবে লেখাপড়া করাবেন, কিভাবে তাদের দেখভাল করবেন কিছুই বুঝতে পারে না কাফুরা খাতুন! বাধ্য হয়ে বাড়ী বাড়ী ঘুরে কাজ খুজতে থাকেন তিনি। এবং কোথাও কাজ খুঁজে না পেয়ে ঝি-এর কাজ করে সংসারের হাল ধরেন কাফুরা খাতুন। তবুও যেন হতাশার শেষ নেই, সামান্য এই উপার্জনে জোটেনা দুবেলা দুমুঠো আহার। সন্তানদের অনাহারী মুখ দেখে কান্নায় ফেটে পড়েন কাফুরা তিনি। এবং একপর্যায়ে সারার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দুশ্চিন্তায় অঝরে কাঁদেন কাফুরা খাতুন। অতঃপর এপিপি সারার পাশে এসে দাঁড়ায়! সারার লেখাপড়ার দায়দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের জন্য দুবেলা দুমুঠো আহারের ব্যবস্থা করে এপিপি। এপিপির এই সাহায্য পেয়ে আনন্দচিত্তে দুচোখ ভিজে যায় কাফুরা খাতুনের। এপিপির সাহায্যের কল্যাণে বর্তমানে আর দুমুঠো খাবারের অভাব নেই সারা ও তানভীরের। কাফুরা খাতুনের আকাশেও এখন রঙিন ঊষা দেখা দেয়, তিনি আবারও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন তার সন্তানদের মানুষের মত মানুষ হতে এখন আর কোন বাধা নেই। এপিপির এই অগ্রযাত্রায় আপনিও শামিল হতে পারেন। হয়তো আপনার সামান্য সহযোগিতায় আবারও কোন ভঙ্গুর পরিবার তার প্রাণ ফিরে পাবে! ফিরে পাবে বেঁচে থাকার আশ্বাস এবং ভরসার এক স্থায়িত্ব হাত।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: ৯৯ নং দক্ষিণ চরাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালায়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
তিনিমা আনোয়ার সারা
পিতা: মৃত আহসান হাবীব
পিতার মৃত্যু: ০৯ জুলাই ২০১৯
মাতা: মোছা কাফুরা খাতুন
সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.