Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আহাদ আলী
চতুর্থ শ্রেণী
শৈশবের পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত আহাদ আলী। বর্তমানে অসহায় মাতৃকোড় হলো তার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবাকে হারায় আহাদ। হঠাৎ বিকট এক বজ্রপাতে প্রাণ হারায় আহাদের বাবা সোহেল আলী। তিনি বেঁচে থাকতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে রোখসানা বেগম যেন সর্বকুল হারানো এক নিঃস্ব যাযাবর। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে নিয়ে যেন গভীর সমুদ্রে পড়েছেন তিনি। অসহায়ত্বের অনলে পুড়ে বাধ্য হয়ে অন্যের বাসা বাড়ীতে ঝি-এর কাজ শুরু করেন রোখসানা বেগম। দিন রাত পরিশ্রম করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে চার সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। সামান্য খাবারের আশায় মানুষের দিকে চেয়ে থাকেন তিনি। সন্তানদের লেখাপড়া এক পর্যায়ে বন্ধের উপক্রম হলে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। কিভাবে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবেন, কিভাবে তাদের লেখাপড়া সচল রাখবেন যেন কিছুই বোধগম্য হয় না রোখসানা বেগমের। এমতাবস্থায় এপিপি রোখসানা বেগমের পাশে এসে দাঁড়ায়। আহাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, এবং গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করে এপিপি। এপিপির এই সহযোগিতার ফলে আহাদ আবারও স্কুলে ফিরে যেতে পারে। এবং দুবেলা দুমুঠো খাবারের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয় পরিবারটি। এপিপির এই সহযোগিতা পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পায় পরিবারটি। ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে ছোট্ট দুই অনুজের। এপিপির এই অগ্রযাত্রায় আপনিও অংশীদার হতে পারেন। আপনার সাহায্য এবং সহযোগিতার সুদৃঢ় সেই প্রসস্ত হাতের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারও এতীম অসহায় পরিবার। তাই আসুন তাদের জন্য অবিভাবক হয়ে উঠি এবং তাদের পাশে থেকে ভেঙ্গে যাওয়া সেই স্বপ্নকে আবারও জাগ্রত করে তুলি।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: পিটালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালায়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
আহাদ আলী
পিতা: মৃত সোহেল আলী
পিতার মৃত্যু: ১৭ মে ২০১৯
মাতা: মোছা রোকসানা বেগম
সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.