Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আব্দুর রহমান
সপ্তম শ্রেণি
পেশায় অটো রিক্সা চালক ছিলেন আবু সুফিয়ান। তিনি শৈশব থেকে অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছেন। অভাব অনটনের কারণে একপর্যায়ে লেখাপড়াও ছাড়তে বাধ্য হয় সুফিয়ান। তবে লেখাপড়া করতে না পারার কষ্ট একপ্রকার ব্যাথিত করে তোলে সুফিয়ানকে। পৈতৃক ভিটায় কোন রকম ঘর তুলে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন তিনি। একমাত্র ছেলে আব্দুর রহমান হওয়ার পর সুফিয়ান তার স্ত্রী হানুফা বেগমকে জানায় ছেলেকে যেভাবেই হোক লেখাপড়া করাবেন তিনি। তারপর থেকে নিজেরা না খেয়ে হলেও একমাত্র ছেলের লেখাপড়ায় কোন কমতি হতে দেয় না হানুফা বেগম ও আবু সুফিয়ান। আব্দুর রহমানও ছোট থেকে বেশ মেধাবী। বাবার কথামত লেখাপড়ায় ভীষণ মনোযোগী সে। সবকিছু ঠিকই চলছিলো, কিন্তু হঠাৎ একদিন সুফিয়ান জানতে পারেন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর বেশ কিছুদিন চিকিৎসকের পরামর্শ আনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতে থাকে তার। কিন্তু তা আর বেশিদিন চালু রাখতে পারে না সুফিয়ানের পরিবার। অভাবের কাছে হার মেনে চিকিৎসা ছাড়া ভুগে ভুগে মৃত্যুবরণ করেন সুফিয়ান। সুফিয়ানের মৃত্যর পর পরিবারে নেমে আসে ঘর অমানিশা। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবার একদমই নিঃস্বপ্রায়। সন্তানদের জন্য কিছু করতে না পেরে অসহায়ত্ব বরণ করে নেয় হানুফা বেগম। তিনি নিজেও ভীষণ অসুস্থ এবং তিনবার অপারেশন করার ফলে শারীরিক ভাবে বেশ দুর্বলও তিনি।
সন্তানদের ক্ষুধার কষ্ট দেখে দুচোখ ভিজে যায় হানুফা বেগমের। এমতাবস্থায় এপিপি হানুফা বেগমের পাশে এসে দাঁড়ায়। আব্দুর রহমানের লেখাপড়ার সকল দায়দায়িত্বসহ তার জন্য গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করে এপিপি। এপিপির স্পন্সরে দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে আব্দুর রহমানের পরিবারের। তাই আসুন এতিম পরিবারের পাশে থাকি, তাদের জন্য কল্যাণকামী হয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: নয়ানশুকা কিন্ডারগার্ডেন
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
আব্দুর রহমান
পিতা: মৃত আবু সুফিয়ান
পিতার মৃত্যু: ২০ জুন ২০১৯
মাতা: মোছা হানুফা বেগম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.