Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আফিফা খাতুন
৬ষ্ঠ শ্রেণী
শৈশবের পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত আফিফা। মাত্র দুই বছর বয়সে সে তার বাবাকে হারায়। আফিফার বাবা পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। স্বল্প উপার্জনে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে পৈতৃক ভিটায় সংসার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। জায়গা জমি বলতে সামান্য ঐ ভিটেমাটি ছাড়া তেমন কিছুই ছিলোনা আফিফার বাবার। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ভুগে হঠাৎ একদিন ঘুমের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে আফিফার মায়ের অবস্থা ভীষণ সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। তিনি মানুষিক ভাবে এতটায় ভেঙ্গে পড়েন যে আরোগ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় তাকে। এবং সংসারের অভাব-অনটন, অনাহার-অনাদরে নিমজ্জিত হয়ে দুশ্চিন্তার দিন রাত পার করেন আফিফার মা। প্রায়ই খাবারের জন্য কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে সদ্য এতিম হওয়া সন্তানেরা। দেখেও কিছু করার থাকেনা আয়েশা খাতুনের। একপর্যায়ে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মসজিদ ভিত্তিক প্রকল্প শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত আছেন আয়েশা খাতুন। যেখান থেকে তিনি স্বল্প পরিসরে উপার্জন করেন। যা দিয়ে চার সদস্যের পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় তার। তিনি জানেন না কিভাবে সন্তানদেরকে আবারও স্কুলে পাঠাবেন! সন্তানদের অনাগত ভবিষ্যৎ আবারও কিভাবে গড়বেন এর উত্তরও জানা নেই আয়েশা খাতুনের। অসহায় এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় আমরা পরোপকারী পরিবার-এপিপি। আফিফাকে ইয়াতিম প্রতিপালন প্রকল্পের আওতাধীন করে আবারও তাকে স্কুলে পাঠানো হয়। তার জন্য গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পরিবারের জন্য নিয়মিতভাবে খাবারের ব্যবস্থাও করে এপিপি। সন্তানদের মুখে আবারও দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারবেন এ যেন বিশ্বাস হয়না আয়েশা খাতুনের। মানবতার বন্ধু এপিপির এই অগ্রযাত্রায় আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাই আসুন নিজেদের স্বচ্ছলতা দিয়ে দূর করি অন্যের অস্বচ্ছলতা! আপনার সামান্য অংশগ্রহণে অসহায়ত্ব কেটে গড়ে উঠুক রঙিন দিনের পৃথিবী।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: নামোশংকরবাটী আজিজিয়া কেরাতিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী মাদরাসা
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
মোছা: আফিফা খাতুন
পিতা: মৃত কামাল উদ্দিন
পিতার মৃত্যু: ২৪ অক্টোবর ২০১৪
মাতা: মোছা আয়েশা খাতুন (গৃহিণী)
Reviews
There are no reviews yet.