কর্মসংস্থান
যারা সামান্য পুঁজি বা অর্থের অভাবে নিজেদের যোগাতা ও সম্ভাবনাময় কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারছেন না

এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের কর্মক্ষম, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে এককাপান সহযোগিতা প্রদান করা হয় এবং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।গড়ে প্রতিটি পরিবারকে তাদের যোগ্যতা, প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী আনুমানিক ৫০,০০০ টাকার সহযোগিতা করা হয়। "আমরা পরোপকারী পরিবার (APP)"-এর পক্ষ থেকে নিয়মিত তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অটোরিকশা, সেলাইমেশিন, ঘানিতে সরিষা ভাঙানোর উপকরণ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু প্রতিপালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে আত্মত্মনির্ভরশীল করার চেষ্টা করা হয়। মূলত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অসহায় নারী এবং পুরুষরা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়।"অর্থ সাহায্য নয় বরং অর্থ উপার্জনের উপায় শিখিয়ে দিন"-এই শিক্ষার আলোকে নিজেদের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী পরিবার গঠনে আপনার সহযোগিতা সদকায়ে জারিয়া হিসেবে চলমান থাকবে।আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "বিধবা ও মিসকিনদের দায়িত্ব বহনকারী আল্লাহর পথে জিহাদকারীর ন্যায়। বুখারি"

পুর্নবাসন
তারা বলে শুধু আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের আহার্য দান করি। বিনিময়ে তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না।’ (সুরা : দাহর, আয়াত : ৮-৯)

তাই সাধ্যমতো অসহায়দের সাহায্য করা, তাদের পুনর্বাসন করা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব। বিশেষ  করে এতিম ও বিধবারা নিদারুণ কষ্টে দিন পার করে। স্বার্থের এই দুনিয়ায় কেউ তাদের খোঁজ নেয় না। অথচ কোরআন-হাদিসে তাদের অধিকারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসন ও তত্ত্বাবধানের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।

অভাব-অনটন সবারই কম-বেশি আছে, থাকবে। এর মাঝেই নিঃস্বার্থভাবে সমাজ ও পরিবারের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। অভাব-অনটন থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অভাবীদের পাশে দাঁড়ালে এর বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম পুরস্কারের ঘোষণা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ জান্নাতিদের প্রাপ্ত নিয়ামত ও তাদের গুণাবলি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তারা আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও (আল্লাহর ভালোবাসায়) অভাবী, এতিম ও বন্দিকে আহার্য দান করে।

তাই অভাবের ভয়ে বিধবা ও এতিমদের অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের পরিবার ও সমাজ থেকে আলাদা করে দেখা বা বোঝা হিসেবে দেখা উচিত নয়। তারা কোনোভাবে বোঝা নয়।

মহান আল্লাহ তাদের সাময়িক বিপদের কারণে জান্নাতে যাওয়ার সোপান বানিয়ে দেন। ফলে যারা তাদের পুনর্বাসনে সচেষ্ট হয়, তারা অফুরন্ত কল্যাণ লাভ করে। ফওয়ান ইবনে সুলায়ম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে লোক বিধবা ও মিসকিনদের ভরণ-পোষণের ব্যাপারে চেষ্টা করে, সে আল্লাহর পথে জিহাদকারীর মতো। অথবা সে ওই ব্যক্তির মতো, যে দিনে সিয়াম পালন করে ও রাতে (ইবাদতে) দণ্ডায়মান থাকে। (বুখারি  : ৬০০৬)