Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি মুদাসসির
অষ্টম শ্রেণী
মাত্র নয় বছর বয়সে এতীম হয় মুদাসসির। মুদাসসিরের বাবা মোহাম্মদ আলী পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। হঠাৎ একদিন হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে মুদাসসিরের পরিবার এখন নিঃস্ব প্রায়। মোহাম্মদ আলী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ায় পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু রেখে যায় নি। স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুতে মুক্তা মণির যেন দুঃখের শেষ নেই। সন্তানদের অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। কিভাবে সংসারের যাবতীয় খরচ যোগাড় করবেন তার উত্তরও জানা নেই মুক্তা মনির। বাধ্য হয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে অন্যের বাড়ীতে কাজ শুরু করেন তিনি। অভাবের তাড়নায় মুদাসসিরের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়। একদিকে অনাহারী সন্তানদের আর্তনাদ অন্যদিকে তাদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার তীব্র আকুলতা, এসব দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না মুক্তা মনি। যেন কষ্টের তীব্রতায় হার মেনে সারাক্ষন মুখ লুকিয়ে কাঁদেন তিনি। এমতাবস্থায় এপিপি মুক্তা মনির পাশে এসে দাঁড়ায়। মুদাসসিরের বন্ধ হওয়া লেখাপড়া আবারও নতুন করে চালু হয়। আবারও স্কুলে ফিরে যায় মুদাসসির। তার জন্য সকল রকমের শিক্ষা উপকরণসহ গৃহ শিক্ষক নিযুক্ত করণ করে এপিপি। এপিপির এই সহযোগিতা পেয়ে মুক্তা মনির অসহায় জীবনের অবসান ঘটে। কিছুদিন আগেও যে পরিবার দুমুঠো খাবারের আশায় অন্যের পথ চেয়ে বসে থাকতো, আজ সে পরিবারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরেছে। এপিপির এই স্পন্সর পেয়ে অনাহারী জীবনকে দূরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে মেধাবী শিশু মুদাসসির ও তার পরিবার। তাই আসুন এপিপির এই অগ্রযাত্রায় শামিল হই। অসহায় মেধাবী শিশুদের অনাগত ভবিষ্যৎ গড়তে তাদের জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। মনে রাখবেন আপনার এবং আমার এই অনুদানই পারে অসহায়ত্ব বরণ করা পরিবার গুলোকে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলতে। মেধাবীদের স্বপ্ন গুলোকে আবারও নতুন করে বাস্তবায়ন করতে তাদের পাশে এসে দাড়ানোর উদাত্ত আহবান রইলো।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: পিটালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালায়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
মুদাসসির
পিতা: মৃত মোহাম্মদ আলী
পিতার মৃত্যু: ২৩ জুন ২০১৯
মাতা: মুক্তা মণি
শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.