Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আসিফা খাতুন
চতুর্থ শ্রেণী
আসিফার বয়স যখন দুই তখন সে তার বাবাকে হারায়। তার বাবা পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। উপার্জন স্বল্প হলেও চার কন্যা সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুখের যেন কমতি ছিলোনা আবজাল হোসেনের। আসিফার জন্মের পর আবজাল তার স্ত্রীকে জানায় মেয়েকে তিনি চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে সকল পরিকল্পনা করে রাখেন তিনি। যদিও পৈতৃক ভাবে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন সম্পদ ছিলোনা আবজালের। তিনি ওয়ারিশ সূত্রে সামান্য যে অংশ পেয়েছিলেন সেখানে কোন রকম ভাবে সন্তানদেরকে নিয়ে বসতি গড়ে তোলেন। তবে দুঃখ কষ্টে নিমজ্জিত থাকলেও পরিশ্রম দিয়ে সফলতা অর্জন করতেন তিনি। হঠাৎ একদিন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবজাল। সাথে সাথে চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে থাকার পরও শারীরিক ভাবে অবনতি ঘটতে তাকে আবজালের। এবং একপর্যায়ে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুতে অসহায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সিমুর জীবন। তখনও শিশু আসিফা তার কোলে, অবুঝ এই এতীম সন্তানসহ বাকি তিন সন্তানকে নিয়ে যেন গভীর মহাসাগরে পড়েন তিনি। অর্থাভাব এবং সন্তানদের ক্ষুধার কষ্টে যেন পাগলপ্রায় হয়ে ওঠেন তিনি। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ীতে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপরও সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খায় সিমু বেগম। অর্থের অভাবে আসিফাকে স্কুলে ভর্তি করাতে না পারলে দুশ্চিন্তায় আরও ভেঙ্গে পড়েন তিনি। এমতাবস্থায় এপিপি সিমু বেগমের পাশে এসে দাঁড়ায়। আসিফাকে ইয়াতিম প্রতিপালন প্রকল্পের আওতাধীন করে তার জন্য স্পন্সরের ব্যবস্থা করে এপিপি। পাশাপাশি সকল শিক্ষা উপকরণ এবং গৃহ শিক্ষক নিযুক্ত করে এপিপি। এপিপির এই সাহায্যের ফলে আসিফা তার বাবার লালিত স্বপ্নের পথে এক ধাপ এগিয়ে যায়। এবং অসহায় এক পরিবার ফিরে পায় সোনালি দিনের নতুন এক পৃথিবী। অভাবের দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসে সিমু বেগমের সংসার। তাই আসুন সমাজের অভাব অনটন দূর করতে এপিপির পাশে থাকি। অসহায় পরিবারদের জন্য আর্থিক কুরবানি করে তাদের জন্য সর্বোত্তম অভিভাবক হই।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: দারুল আরকাম নুরানী মাদরাসা
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
আসিফা খাতুন
পিতা: মৃত আবজাল হোসেন
পিতার মৃত্যু: ০৮ আগস্ট ২০১৩
মাতা: মোছা সিমু
সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.