কবির হোসেন

পরোপকারী মানুষই সেরা মানুষ
৳ 3,000.00

বয়স: ১১ বছর

সপ্তম শ্রেণী

বাংলাদেশ, চাপাইনবাবগঞ্জ

1 in stock

Description

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আমি কবির হোসেন

সপ্তম শ্রেণী

ফারুক হোসেন, পেশায় রাজমিস্ত্রির যোগালি ছিলেন। স্বল্প উপার্জন হলেও দুই সন্তান এবং স্ত্রী কে নিয়ে তার সুখের কোন কমতি ছিলো না! পৈতৃক ভাবে তেমন একটা স্বাবলম্বী ছিলেন না ফারুক হোসেন। বাল্যকাল থেকে টানাপড়েনের সংসারে বড় হয়েছেন তিনি। তবুও স্বপ্ন ছিলো এক আকাশ সমান। সেই স্বপ্নের পশরা দুই সন্তান কবির ও ফাতেমাকে নিয়ে সাজিয়েছিলেন তিনি। যেন তার উপরে ভর করে আছে অসহায় অভাবী একটি পরিবার! স্ত্রী মোমেনা বেগমও বুনেছিলেন স্বপ্নের সীমাহীন জাল। সেদিন কাজে গিয়ে হঠাৎ বুকে তীব্র প্রদাহ অনুভব করেন ফারুক। কিছু বুঝে উঠার আগেই সে প্রদাহ এতটাই প্রগাড় হয় যে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং চিকিৎসকরা জানায় তিনি হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।  মুহূর্তেই পশরা গুলো ভেঙ্গে চুড়মাড় হয়ে যায় মোমেনা বেগমের। যেন চারিদিকে প্রবল আর্তনাদ আর ধ্বংসের করতালি। জীবনের এই নিদারুণ বাস্তবতা মোমেনা বেগমকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। স্বামীর রেখে যাওয়া এমন কোন অবলম্বন নেই যে তা আঁকড়ে ধরে বাকি জীবন কাঁটিয়ে দেবেন। বাধ্য হয়ে কবির এবং ফাতেমাকে নিয়ে বাবা মায়ের কাছে চলে আসেন মোমেনা বেগম। বার্ধক্যের বিষণ্ণতায় তাদের জীবন আগে থেকেই ছিলো জরাজীর্ণ এবং অভাবের ছাপ। হঠাৎ মেয়ে এবং নাতিনাতনি ফিরে আশায় দুশ্চিন্তা যেন কয়েকশ গুন বেড়ে যায় মোমেনা বেগমের বাবা ও মায়ের। সেখানে দর্জির কাজ শুরু করেন তিনি। তার সামান্য এই উপার্জনে পাঁচজনের সংসারে দুবেলা নিয়মিত খাবার না জুটলে এপিপি তাদের পাশে এসে দাড়ায়। এপিপির এই সাহায্যের ফলে কবিরের লেখাপড়া এবং তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবন ফিরেছে। এক দুস্থ্য পরিবারের অনাহারী জীবনের অবসান ঘটেছে। এই সফেদ পথের পাথেয় আদায়ে আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন। অসহায় পরিবার এবং এতিম শিশুরা যেন আপনার জন্যই আজ অপেক্ষারত।

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: সংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ কে কামিল মাদরাসা

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী

কবির হোসেন

পিতা: মৃত ফারুক হোসেন

পিতার মৃত্যু: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

মাতা: মোছা মোমেনা বেগম

সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কবির হোসেন”

Your email address will not be published. Required fields are marked *