Description
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমি আবু সাঈদ
পঞ্চম শ্রেণী
২০১৩ সালে দিনমজুর নুরুল ইসলামের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় আবু সাঈদ। স্বল্প উপার্জনে তিন সন্তানকে নিয়ে শুরু থেকেই টানাপোড়েন লেগে ছিলো নুরুল ইসলামের। তারপরেও সন্তানদেরকে নিয়ে এক আকাশ স্বপ্ন দেখতেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাফিনা খাতুন। একদিন হঠাৎ বুঁদ হয়ে থাকা সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মাড় হয়ে যায় সাফিনা খাতুনের। সেদিন গভীর রাতে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন নুরুল ইসলাম। এবং ব্যাথা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। অতঃপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় তিনি হার্ট এট্যাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীর এভাবে চলে যাওয়ায় সাফিনা খাতুন পাগলপ্রায় হয়ে পড়ে। কি করবেন, কোথায় যাবেন, কিভাবে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবেন এর সমাধান জানা নেই তার। এরমধ্যে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অভাব, অনটনে বড় মেয়েকে ধারদেনা করে অল্প বয়সেই বিবাহ দিতে বাধ্য হয় তিনি। ঋণের বোঝায় জর্জারিত হয়ে অন্যের দর্জির দোকানে কাজ শুরু করেন। একমাত্র ছেলে আবু সাইদ এবং ছোট মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাথর হয়ে যায় সাফিনা খাতুন। এমতাবস্থায় এপিপি সাফিনা খাতুনের পাশে এসে দাঁড়ায়। আবারও স্কুলে যাওয়া শুরু হয় আবু সাঈদের। তাকে স্পন্সর করে শিক্ষা উপকরণসহ গৃহ শিক্ষকের ব্যবস্থা করে এপিপি। এপিপির সহযোগিতায় বর্তমানে দুবেলা দুমুঠো খাবারের যোগান হয়েছে সাফিনা খাতুনের পরিবারের। তিনি আবারও সন্তানদেরকে নিয়ে রঙ্গিন সেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। তাই আসুন ভঙ্গুর এই পরিবার গুলোর রঙ্গিন স্বপ্নের যোগান দেই। মনে রাখবেন আপনার সাহায্য এবং দানশীল ঐকান্তিকতার দিকে চেয়ে আছে কতগুলো এতিম পরিবার।
শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: উপর রাজারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
আবু সাঈদ
পিতা: মৃত নুরুল ইসলাম
পিতার মৃত্যু: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মাতা: মোছা সাফিনা খাতুন (গৃহিণী)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাপাইনবাবগঞ্জ
Reviews
There are no reviews yet.