Description
আফসানা আখতার রেশমী
দক্ষিণ চরাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
৮ম শ্রেণি
আফসানা আখতার রেশমী একজন মেধাবী ছাত্রী। সে উত্তরার একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার বাবা জনাব রেজাউল (৪০) দিনমজুরী করতেন। মা নাসরিন (৩৯) গৃহিনী। আফসানার পরিবারে খুব বেশি স্বচ্ছলতা না থাকলেও বাবা-মায়ের আদরে বেশ ভাল কাটছিল তার দিন। ২০২০ সালে তাদের ঘর আলো করে ছোট বোন তাবাসসুম নাফিসার জন্ম হয়। ছোটবোনের জন্মের ১০ম মাসে আফসানার বাবা হঠাৎ নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে বিছানায় শয্যাশায়ী হন। স্ট্রোকের ১১তম দিবসে তার মৃত্যু ঘটে। বাবার মৃত্যুশোকে আফসানার মা মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। আফসানার বাবার ঘরের ভিটা ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই।
আফসানার মা একজন মৃগী রোগী। মাঝে মাঝে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। তার বড় চাচা মৃত এবং ছোট চাচা ঢাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। চাচার আয় সীমিত হওয়ায় তিনি কোন সহযোগিতা করতে পারেননা। অভিভাবকহীন পরিবারটি অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটাতে থাকে।
বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় ২০২১ সালে প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে তাদের পুরনো ধ্বংস প্রাপ্ত ঘরটি মেরামত করে দিয়েছে। এরমধ্যে অসহায় পরিবারটি আমরা পরোপকারী পরিবার (এপিপি)’র নজরে আসে। এপিপি ছাত্রীটিকে এতিম প্রতিপালন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এপিপির সম্মানিত দাতাদের সাহায্যে পরিবারটির মুখে হাসি ফুটেছে। কিন্তু ফান্ড স্বল্পতার কারনে নিয়মিত সাহায্য পাঠানো যাচ্ছেনা। এব্যপারে সহৃদয়বান দানবীর ব্যক্তিদের নিকট আকুল আহ্বান রেখেছেন আফসানার মা।
ছাত্রীটি মেধাবী হওয়ায় ২০২৩ সাল থেকে তাকে ঢাকা শহরে ছাত্রীদের ড্রিমহোমসে (এতিম ছাত্রীদের নিবাসে) যুক্ত করা হয়েছে। আফসানা আখতার রেশমীর লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে দাতাদের নিয়মিত সাহায্য প্রয়োজন। একটি জীবন বদলে দিতে এগিয়ে আসুন। আপনার সন্তানের মত আরেকটি সন্তানের দায়িত্ব নিন।