জরুরি ত্রাণ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আঘাত হানে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলায়

গত ২৭ মে দিবাগত রাত থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আঘাত হানে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা সমূহে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলা। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে বহু মানুষ। জলোচ্ছাস আর বাঁধ ভাঙ্গা লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

ঘুর্ণিঝড় আক্রান্ত আশ্রয়হীন, নিরন্ন, অসহায় নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে ঢাকা থেকে জরুরী ভিত্তিতে টীম প্রেরণ করা হয়।

টীমসমূহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সর্বমোট রান্না করা খাবারের প্যাকেট, শুকনো খাবারের প্যাকেট ও লিটার সুপেয় পানি বিতরন করে।

এ কার্যক্রমে যারা জরুরী ভিত্তিতে সাড়া দিয়েছেন, বিশেষ করে দাতাসংস্থা ও দানশীল ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবক সকলকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে দুনিয়া ও আখেরাতে অসীম বারাকাহ ও উত্তম বিনিময় প্রদান করুন। আমিন।

জরুরি ত্রাণ

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক আবহাওয়ার প্রভাবে প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও শৈত্যপ্রবাহসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগে বিপুল সংখ্যক মানুষ আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হয়। সচরাচর এ সকল পরিস্থিতিতে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। দৈনন্দিন আয়-রোজগার ব্যাহত হয় বলে জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, পরিধেয় বস্ত্র, বিশুদ্ধ খাবার পানি, জরুরি চিকিৎসা, ঘর মেরামতসহ বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

"দান প্রতিদিন" কর্মসূচি ও অন্যান্য তহবিল থেকে সংগৃহীত অর্থ প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী দুর্গত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে পৌছানো ও বিতরণ করা হয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি কষ্টে আক্রান্তের কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার কষ্ট দূর করে দিবেন"। (মুসলিম ৬৭৪৬)