আমাদের সম্পর্কে

আমাদের কথা

একজন সাধারন মানুষের স্বল্প দান দিয়ে এককভাবে বড় কিছু করা সম্ভব না হলেও অনেকের নূন্যতম দানগুলোকে একত্র করে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব

সামাজিক জীব হিসেবে একজন মানুষকে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসা, দুর্দশাগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো, অসহায়দের প্রতি সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানো তথা পরোপকারের মাধ্যমে তার প্রকৃত মনুষ্যত্বের প্রতিফলন ঘটে। এ জন্য বলা হয়, “পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার”।

আল-কুরআনে সূরা আলে ইমরানের ১১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে”। পরোপকার বিষয়ে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের মালিক আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি সদয় হবেন”। তিরমিজি: ১৮৪৭।

0

সেচ্ছাসেবক

0 M

তহবিল সংগ্রহ

0

প্রকল্প

0

অদ্যাবধি

আমাদের কথা

আমাদের লক্ষ্য

১. সমাজের সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের সামর্থ অনুযায়ী পরোপকারে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করা।

২. প্রকৃত অসহায় এবং দুস্থদের নিকট সংগৃহীত সহযোগিতা পৌঁছানো।

৩. দারিদ্র বিমোচন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করা।

প্রতিপাদ্য

রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী, মানুষের মাঝে সেই ব্যক্তি-ই শ্রেষ্ঠ যে অন্যের উপকার করে এবং আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে প্রশস্ত হৃদয় ও বড় মন নিয়ে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। তাই “আমরা পরোপকারী পরিবার (APP)”-এর মূল স্লোগান বা প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে “পরোপকারী মানুষই সেরা মানুষ”।

আমাদের মূলনীতি

১. দেশের প্রচলিত আইন, সরকারি বিধিমালা ও ধর্মীয় নীতিমালার পরিপূর্ণ অনুসরনের মাধ্যমে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন।

২. বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরন।

৩. অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গকে তাদের মানব হিতৈষী কর্মকান্ড চলমান রেখে “আমরা পরোপকারী পরিবার (APP)”-প্রকল্পে অংশগ্রহনের সুযোগ দান।

৪. সকল প্রকার দান বা সহযোগিতা সংগ্রহে ব্যাংক একাউন্ট ও সরকার অনুমোদিত ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) পদ্ধতির অনুসরন।

প্রকল্পের ধারনা

দীর্ঘ প্রায় দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী দাতা সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গের পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন খাতে বিদেশী দাতা ও সংস্থার ভূমিকাই বেশী। বিদেশী সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশের দানশীল ব্যক্তিবর্গও বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প পরিচালনা করছেন। তবে এককভাবে বড় কোন প্রকল্পে দান করার সামর্থ নেই বলে অনেকেই পরোপকারের কাজে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। অন্যদিকে সাধারন মানুষের দান ও সহযোগিতা একত্র করে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে অংশগ্রহনের সুযোগও বেশি নেই। প্রচলিত নিয়মকানুন, ধর্মীয় বিধি-বিধান, সর্বপর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরন, সামগ্রিক আস্থা ও যথাযথ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে মানবকল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এই প্রয়াস।

একজন লোক যদি প্রতিদিন ৫ টাকা করে দান করেন, তাহলে একমাসে ১৫০ টাকা এবং বছরে ১,৮০০ টাকা হয়। একজন সাধারন মানুষের পক্ষে এই পরিমান টাকা দান করা সম্ভব হলেও এককভাবে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এবং চলমান রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু অনেকের এই পরিমান দানকে একত্র করে সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রাখা সম্ভব।

প্রাথমিকভাবে যদি “আমরা পরোপকারী পরিবার (APP)” প্রকল্পে ২০ হাজার ব্যক্তিবর্গ সম্পৃক্ত হন, তাহলে প্রতিদিন অনুদান সংগ্রহ হবে এক লক্ষ টাকা এবং মাসে ত্রিশ লক্ষ টাকা। “দান প্রতিদিন” কর্মসূচীর আওতায় এই তহবিলের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে মসজিদ নির্মাণ, ইয়াতিম প্রতিপালন, ছাত্র-বৃত্তি প্রদান, কর্মসংস্থান ও পূনর্বাসন এবং জরুরি ত্রান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা  সম্ভব হবে।

আশা করা যায় যে, চলমান প্রকল্প সমূহের মাধ্যমে অনেক অসহায় মানুষ উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ এই উদ্যোগকে আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করে প্রতি বছরই অসংখ্য মানুষ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবেন এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ও কর্মপরিধি বাড়বে। পাশাপাশি সময়ের ব্যবধানে দেশের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও জনহিতকর এই কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে।