দান প্রতিদিনঃ
“দান প্রতিদিন” কর্মসূচীতে যে কোন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন সামান্য পরিমানে হলেও দান করার সুযোগ পাবেন। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫ টাকা করে দান করলে একমাসে ১৫০ টাকা সংগ্রহ হবে। সম্ভাব্য ২০ হাজার দাতার মোট দানের পরিমান হবে এক মাসে ৩০ লক্ষ টাকা। আপনার দানের অর্থ নিম্নোক্ত ৫ টি প্রকল্পে আনুপাতিক হারে ব্যয় হবে:
মসজিদ নির্মান
৬০%
এতিম প্রতিপালন
১০%
শিক্ষা বৃত্তি
১৬.৭%
কর্ম সংস্থান
৬.৭%
জরুরী ত্রাণ
৬.৭%
১ মাসে (৩০ লক্ষ টাকা) যা করা যায়-
ক. (৬০%) ১৮ লক্ষ টাকায় :১০০ বর্গমিটারের ১ টি মসজিদ নির্মাণ হয়। যেখানে ১৫০ জন নামাজ পড়তে পারবে।
খ. (১০%) ৩ লক্ষ টাকায় : মাসে ৩ হাজার টাকা করে ১০০ জন ইয়াতিমসহ শিক্ষক স্পন্সর করা যায়।
গ. (১৬.৭%) ৫ লক্ষ টাকায় : মাসে ৫ হাজার টাকা করে ১০০ জন গরীবও মেধাবী ছাত্র/ ছাত্রী কে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা যায়।
ঘ. (৬.৭%) ২ লক্ষ টাকায় : মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৪ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়ে যায়।
ঙ. (৬.৭%) ২ লক্ষ টাকায় : মাসে কিছু পরিবারকে জরুরী সহায়তা করা যায়।
১ বছরে যা করা যায়-
১২ টি মসজিদ নির্মাণ,
১০০ জন এতিম প্রতিপালন,
১০০ জন ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,
৪৮ টি অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন এবং
২৪ লক্ষ টাকার জরুরী সহায়তা করা যায়।
কেন আমরা পরোপকারে শামিল হবো
১.মাসজিদ নির্মাণ: মাসজিদ আল্লাহর ঘর। মাসজিদ তৈরীর বিনিময়ে আল্লাহ জান্নাতে ঘর তৈরী করে দিবেন।
অনুবাদ: যে আল্লাহ তা’য়ালার জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে এবং এর দ্বারা সে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন। সহিহ বুখারী ৪৫০।
২. ইয়াতিম প্রতিপালন: কোরআনের ১২টি সূরার ২২টি আয়াতে ইয়াতিমের কথা বলা আছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
অনুবাদ: আমি ও ইয়াতীমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনিভাবে কাছিকাছি থাকবো। এই বলে তিনি ইঙ্গিত করলেন শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুল দু’টি দ্বারা এবং এ দুটির মাঝে সামান্য ফাঁক রাখলেন। সহিহ বুখারী-৫৩০৪।
৩. শিক্ষাবৃত্তি প্রদান: শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দেয়া যায়। যারা একেকজন আদর্শ আলেম, শিক্ষক ও চিকিৎসক হিসাবে গড়ে উঠবে। সেবার সাথে সাথে মানুষকে দেখাবে আলোর পথ। গড়বে সুন্দর দেশ ও সমাজ ।
অনুবাদ: যে ব্যক্তি জ্ঞাণ আহরণের জন্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যে জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। মুসলিম-তিরমীজী।। নোট: আমরা এই পথের তরুণদের সহযোগিতায় পাশে দাঁড়াতে পারি।
৪.কর্মসংস্থান তৈরি: বাংলাদেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকার কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। অটোরিক্সা, সেলাই মেশিন, ঘানিতে সরিষা ভাঙ্গানোর গরু এবং হাঁস মুরগী প্রতিপালন ইত্যাদির ব্যবস্থা করে ছোট ছোট পুঁজির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়। ১জন মানুষের কর্মসংস্থান হলে একটি পরিবারের কোন ভাবে খেয়ে-পরে জীবন চালানোর ব্যবস্থা হয়ে যায়।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বিধবা ও মিসকীনদের দায়িত্ব বহনকারী আল্লাহ্র পথে জিহাদকারীর ন্যায়। আমার ধারণা যে, কা’নবী সন্দেহ প্রকাশ করেছেন: সে রাতভর দাঁড়ানো ব্যক্তির মত যে ক্লান্ত হয় না এবং এমন রোজা পালনকারীর মত, যে ভঙ্গ করে না। বুখারি।
৫. জরুরী ত্রাণ সহায়তা : বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছর ক্ষরা, বন্যা এবং অতি শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়ে থাকে। সামান্য একটু সহযোগিতার অভাবে মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হয়। দুর্যোগে কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে সহযোগিতা, শুকনো খাবার বিতরণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ইত্যাদি কাজে অংশগ্রহণ করতে; আমরা সকলে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ। সময় দিতে না পারলেও সামান্য কিছু আর্থিক সহায়তা করে আপনিও হতে পারেন এই মহৎ কাজের নিয়মিত অংশীদার।
মহান রব্বুল আলামীন বলেন:
অনুবাদ: আর সম্পদ প্রদান করে, তারই প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও আত্নীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকীন, মুসাফির-সাহায্য প্রার্থনাকারী ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং ওয়াদা পূরণকারী, যখন ওয়াদা করে। সূরা বাকারা: আয়াত নং ১৭৭।
মহান রব আপনার দানকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও নাজাতের জন্যে কবুল করুণ।।
আমরা পরোপকারী পরিবার, উত্তরা, ঢাকা।
Focus
Copyright© Amara paropakari paribara-2024